গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রের মালিক আত্মঘাতী : চাঞ্চল‍্য এলাকায়

27th September 2021 8:37 pm বর্ধমান
গ্ৰাহক পরিষেবা কেন্দ্রের মালিক আত্মঘাতী : চাঞ্চল‍্য এলাকায়


বিশেষ সংবাদদাতা ( কালনা ) :  ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত না দিতে পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন পরিষেবা কেন্দ্রের মালিক।  মৃত অভিজিৎ আদকের (৩০) বাড়ি কালনা থানার বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমদাবাদ গ্রামে। মৃতের বাবা অভয় আদক গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা উধাও-এর কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান-- অধিকাংশ গ্রাহক তাদের অর্থ ফেরত পেয়ে গেছেন। বাকি যারা ফেরত পাননি তাদের মধ্যে কয়েকজন আজ সোমবার সকালে আমাদের বাড়িতে আসেন।  টাকা ফেরতের জন্য তারা ছেলেকে খুবই চাপ দিয়ে চলে যান। তারপরেই দোতালায় নিজের ঘরে গিয়ে অভিজিৎ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তারবাবু মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৈদ্যপুরের সিরিষতলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র ছিল মৃত অভিজিৎ আদকের। এই পরিষেবা  কেন্দ্রের বহু গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যায়। কারো ৩০ হাজার, কারো ৫০ হাজার, কারো এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত  উধাও হয়। এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে গ্রাহক পরিষেবার কেন্দ্রের মালিক গ্রাহকদের কারো কারো টাকা ফেরত দিতেও শুরু করেন। কিন্তু উধাও হয়ে যাওয়ার টাকার অংকটা এতই বেশি যে-- বাড়িঘর বিক্রি করেও এই অর্থ অভিজিতের পক্ষে  ফেরত দেওয়া সম্ভব ছিল না। এদিন অভিজিতের বাবা বলেন-- ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ৪/৫ কর্মরত ছিলেন। প্রত্যেকেই কিছু কিছু করে টাকা সরাতে গিয়ে আজ বিরাট অংকের টাকায় দাঁড়িয়ে গেছে। আর সেই চাপ পড়ে সম্পূর্ণ অভিজিৎ-এর উপর।  গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়া তার পক্ষে আর সম্ভব ছিলনা বলেই মৃত্যুর পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে ত্তাকে।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।